Ads

 💥পড়তে ভালো লাগে না? কী করবেন?



★(প্রতিদিন ৮-১০ঘন্টা পড়তে হলে মানতে হবে মাত্র ৮ টি কৌশল)

__________________________


✍️কিছু কৌশল আছে, যা অবলম্বন করলে পড়ায় মনোযোগ আনা সম্ভব। চলুন জেনে নেই সেসব বিষয়গুলো।


✍️বইটাকে হাতে তুলে নিন; চিন্তা করুন কী ভয়ঙ্কর প্রতিযোগিতা চলছে চাকরির বাজারে। এর মাঝে টিকে থাকতে হলে সময় কাজে লাগাতেই হবে।


✍️  একটি চিরন্তন সত্যি কথা মনে রাখবেন -‘বর্তমানের প্রতি মুহূর্তের অপচয়ের জন্য আপনাকে ভবিষ্যতে মূল্য দিতে হবে’।


পড়ায় আগ্রহ তৈরির কৌশল:

____________________________


১.কেন পড়ছেনঃ

______________

 প্রথমেই আপনাকে জানতে হবে কেন পড়ছেন। যখন আপনি বুঝবেন, এই পড়াটা ভালোভাবে করার মাধ্যমেই আপনি ভালো রেজাল্ট করতে পারবেন এবং আপনার পক্ষে ধাপে ধাপে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব, তখনই আপনি আগ্রহী হবেন। আর আগ্রহ থাকলে যেকোনো কাজে মনোযোগ এমনিতেই আসে।


২. বিষয়ের বৈচিত্র্যঃ

________________

বিষয়ের বৈচিত্র্য রাখুন। ভাগ ভাগ করে বিভিন্ন সাবজেক্ট পড়ুন। একঘেয়েমি আসবে না। নিত্য নতুন পড়ার কৌশল চিন্তা করুন। রং বেরঙ্গের পেন দিয়ে বই দাগানোর অভ্যাস করতে পারেন। এটিও পড়াকে আনন্দঘন করে তুলতে সাহায্য করে।


৩. পড়ার আগে কিছু টার্গেটঃ

______________________ _

মনোযোগের একটা খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আনন্দ। পড়তে বসার আগে একটু চিন্তা করুন- কী পড়বেন, কেন পড়বেন, কতক্ষণ ধরে পড়বেন। পড়ার আগে কিছু টার্গেট ঠিক করে নিন। যেমন, এত পৃষ্ঠা বা এতগুলো অনুশীলনী পড়ব।


৪. এনার্জি লেভেলের গুরুত্বঃ

_______________________

এনার্জি লেভেলের সঙ্গে আগ্রহের একটা সম্পর্ক আছে। এনার্জি যত বেশি, মনোযোগী হওয়ার ক্ষমতা তত বেশি হয়। আর অধিকাংশ ছাত্রছাত্রীর দিনের প্রথমভাগেই এনার্জি বেশি থাকে। তাদের ক্ষেত্রে দেখা গেছে, যে পড়াটা দিনে এক ঘণ্টায় পড়তে পারছে সেই একই পড়া পড়তে রাতে দেড় ঘণ্টা লাগছে। তাই কঠিন, বিরক্তিকর ও একঘেয়ে বিষয়গুলো সকালের দিকেই পড়ুন।


৫.পড়ার মাঝে ছোট্ট বিরতিঃ

______________________

একটানা না পড়ে বিরতি দিয়ে পড়বেন। কারণ গবেষণায় দেখা গেছে, সাধারণত একটানা ৪০ মিনিটের বেশি একজন মানুষ মনোযোগ দিতে পারে না। তাই একটানা মনোযোগের জন্যে মনের ওপর বল প্রয়োগ না করে প্রতি ৩০-৪০মিনিট পড়ার পর ৫-১০ মিনিটের একটা ছোট্ট বিরতি নিতে পারেন।


৬.উপযুক্ত ডায়েট প্ল্যানঃ

_________ ___________

পড়ার সাথে যেহেতু এনার্জি লেভেলের একটা নিবিড় সম্পর্ক আছে,তাই নজর দিন দৈনন্দিন খাবার গ্রহণের সঠিক সময়ের দিকে।পাশাপাশি পড়াশুনার মাঝে মাঝে গ্রহণ করুন পুষ্টিকর কিছু হালকা খাবার।তা হতে পারে ২টি খেজুর বা এমন অন্য কিছু।আর প্রতিদিন প্রচুর পানি পান করুন যা আপনার মস্তিষ্ককে সতেজ রাখবে।


৭.পড়ার রুমের পরিবেশঃ

____________________

 পড়ার পরিবেশ আপনার মনোযোগ তৈরিতে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। আপনার চোখের পরিধির মধ্যে বই এর আশেপাশের কোনো আকর্ষণীয় বস্তু (ছবি, শোপিস, মোবাইল) যেন চলে না আসে তা খেয়াল রাখতে হবে। এ জন্য সাদামাটা পরিবেশে পড়ার চেষ্টা করতে হবে।


৮.পড়ার সময় চিন্তাগুলোকে নিয়ন্ত্রণঃ

_____________________________

 পড়তে বসলেই বাইরের হাজারো কাজের কথা মনে আসে। কিন্তু, সাবধান! পড়তে বসার আগে কোনো অসমাপ্ত কাজে হাত দেবেন না, বা সেটার কথা মনে এলেও পাত্তা দেবেন না। চিন্তাগুলোকে বরং একটা কাগজে লিখে ফেলুন।


★★একটা কথা সর্বদা মাথায় রাখবেন,আপনার প্রিয় মানুষগুলোর জীবন সাজাতে হলে আগে তো আপনার নিজেকেই স্বাবলম্বী হতে হবে। 


★★এখন নিজেকেই নিজে প্রশ্ন করুন- পারবেন, শুধু মাত্র আর্থিক অক্ষমতার জন্য নিজের প্রিয় মানুষগুলোর হাসিমুখ  বিসর্জন দিতে? চাকরি না পেয়ে যাযাবরের মতো জীবন কাটাতে? কিংবা নিম্নমানের একটা চাকরি পাওয়ার পর ‘নুন আনতে পান্তা ফুরায়’ এমন অবস্থা সহ্য করতে?


তাই বলছি, সময় ফুরিয়ে যায়নি। আপনার আপ্রাণ চেষ্টা যেকোনো মুহূর্তে ঘুরিয়ে দিতে পারে জীবনের মোড়।


✍️সবার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল । ❤️❤️


 

Post a Comment

Previous Post Next Post

ads

ads