সাবজেক্ট রিভিউ : উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগ
বোটানি মানে হলো উদ্ভিদ বিজ্ঞান।
অর্থাৎ, উদ্ভিদ জগৎ নিয়েই আলোচনা।কিন্তু এই উদ্ভিদ বিদ্যার পরিসর টা অনেকেরই অজানা। অনেকেই মনে করেন যে, এটা পড়ে কি হবে? এটার ফিউচার নেই কোনো। কিন্তু গুরুতের বিবেচনায় এটার গভীরতা সীমাহীন। আমাদের মৌলিক চাহিদা ৫টি;
- খাদ্য,
- বস্ত্র,
- বাসস্থান,
- চিকিৎসা ও
- শিক্ষা।
এদের মধ্যে প্রথম ৩টি সম্পূর্ণরূপে পূরণ করে উদ্ভিদজগত। এছাড়াও ৪র্থটিরও সিংহভাগ আসে উদ্ভিদজগত থেকে।
উদ্ভিদবিজ্ঞান-বিষয়টির নাম শুনলেই মনে হয় যে শুধুমাত্র গাছপালা নিয়ে যে পড়াশুনার মাঝেই বিষয়টি সীমাবদ্ধ। কিন্তু, আসলে ধারণাটি সম্পূর্ণ সঠিক নয়। শুধুমাত্র গাছপালা নিয়েই পড়াশুনার মাঝে এই বিষয়টি সীমাবদ্ধ নয়। এই বিষয়টির অধীনে রয়েছে বিশাল এক ক্ষেত্র। এক নজরে দেখে নেয়া যাক সম্মান তথা, অনার্স কোর্সটিতে আসলে কোন কোন দিক নিয়ে পড়াশুনা করানো হয়-
প্রথম বর্ষের:
- Microbiology
- Mycology
- . Phycology
দ্বিতীয় বর্ষের:
- Higher Cryptogams
- Angiosperms Taxonomy
- Biodiversity
মেজর বিষয়গুলোর পাশাপাশি প্রথম বর্ষে রসায়ন 1, প্রাণিবিদ্যা 1 এবং স্বাধীন-বাংলাদেশের-অভ্যুদয়ের-ইতিহাস
দ্বিতীয় বর্ষে রসায়ন 2, প্রাণিবিদ্যা এবং ইংরেজি পড়ার সুযোগ থাকবে.
তৃতীয়, চতুর্থ ও মাস্টার্সে:
[তৃতীয়, চতুর্থ ও মাস্টার্সে কোন নন মেজর সাবজেক্ট থাকবে না]
- Biodiversity
- Basic Biochemistry
- Gymnosperms
- Economic Botany
- Paleobotany
- Plant Anatomy
- Plant Ecology
- Cytology
- Plant Physiology
- Classical Genetics
- Plant Breeding
- Biostatistics
- Soil Chemistry and Soil Fertility
- Plant Pathology
- Plant Biochemistry
- Molecular Genetics
- Limnology
- Cytogenetics
- Embryology of Angiosperms
- Plant Nutrition
- Ethnobotany
- Horticulture
- Plant Biotechnology
- Bioinformatics.
- Organic,
- Physical,
- Element
পড়ার সুযোগ :
উদ্ভিদ বিজ্ঞান হচ্ছে একটি গবেষণা মূলক বিষয়।তাই এটির তাৎপর্য অনেক। এছাড়াও বিদেশে এই বিষয়ে পড়ে গবেষণার বড় সুযোগ আছে। উদ্ভিদবিজ্ঞানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করে স্কলারশিপ নিয়ে ইউরোপ, আমেরিকর বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়ে আছে পিএইচডি সহ উচ্চতর গবেষণার সুযোগ। নিম্নোক্ত বিষয়গুলোতে রয়েছে উচ্চতর পড়াশোনা ও গবেষণার সুযোগ-
“মাইক্রোবায়োলজি, বায়োকেমিস্ট্রি, প্ল্যান্ট ব্রিডিং, উদ্ভিদবিজ্ঞানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর বায়োটেকনোলজি এন্ড প্ল্যান্ট জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং, সাইটোজেনেটিক্স, ইকোলজি এন্ড এনভায়রনমেন্ট, লিমনোলজি অর ওয়াটার বায়োলজি, ফাইকোলজি, ট্যাক্সোনমি, প্ল্যান্ট প্যাথলজি, প্ল্যান্ট ফিজিওলজি।”
কাজের সুযোগ :
বাংলাদেশ সরকারের অধীনে রয়েছে অনেকগুলো রিসার্চ ইন্সটিটিউট। সেসব ইন্সটিটিউটের প্রায় সবগুলোতেই ৩০% এর মত পদ শুধুমাত্র উদ্ভিদবিজ্ঞানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরদের জন্য। ওসব রিসার্চ স্টেশনগুলোতে কাজ করার সুযোগ থাকবে যদি আপনি একজন উদ্ভিদবিজ্ঞানের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর হয়ে থাকেন। তবে এসব ইন্সটিটিউটে কাজের জন্য প্রায় সময়ই যোগ্যতা হিসেবে থিসিস পেপার প্রকাশ হওয়াকে খুবই গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হয়। সেক্ষেত্রে সব সময়ই গবেষণার চেষ্টা থাকা উচিত শুরু থেকেই। বাংলাদেশ সরকারের অধীনস্ত বনবিভাগ, কৃষি মন্ত্রনালয়, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট (BARI), বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট (BRRI), বাংলাদেশ চা গবেষণা ইন্সটিটিউট (BTRI), বাংলাদেশ পারমাণবিক কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট (BINA), বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইন্সটিটিউট (BJRI),
বাংলাদেশ আখ গবেষণা ইন্সটিটিউট (BSRI) এরকম আরো বেশকিছু সরকারী ইন্সটিটিউটে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে বোটানিস্টদের নিযোগ দেওয়া হয়। আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট (IRRI) তেও কাজ করার সুযোগ থাকে অনেক ক্ষেত্রে। এছাড়াও রয়েছে বাংলাদেশ বন বিভাগ। ফরেস্ট অফিসার হিসেবেও এখানে সুযোগ পেতে পারেন।
এছাড়াও বিভিন্ন বেসরকারী প্রতিষ্ঠান দেশ বিদেশে টিস্যু কালচারের মাধ্যমে চারা উৎপাদন করে বাজারজাত করছে, সেসব জায়গায় প্রয়োজন প্রচুর বিজ্ঞানী।
এছাড়াও রয়েছে বাংলাদেশ কর্ম কমিশন মানে BCS। ভালো করে পড়াশোনা ও ভালো রেজাল্ট করে ভালো কিছু আশা করা যায়। বিষয় টা তুলনামূলক সহজ হওয়ায় ভালো রেজাল্ট করা যায়। এছাড়াও দেশের সরকারি বেসরকারি স্কুল, কলেজে রয়েছে শিক্ষকতার সুযোগ। ব্যাংক জব তো আছেই।
যাদের উদ্ভিদ বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করার ইচ্ছা আছে তারা অবশ্যই বিষয় চয়েজ এর ক্ষেত্রে প্রথমে রাখবে উদ্ভিদ বিদ্যা কে। সবার জন্য শুভ কামনা রইলো।
Thanking You
Thanks for your guideline.
ReplyDeletePost a Comment