Ads

Subject Review: International Relations (IR).

International Relations



আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ
.আন্তর্জাতিক সম্পর্ক
 ( ইংরেজি : International Relations,
সংক্ষেপে IR) যেখানে আন্তর্জাতিক ঘটনাবলি এবং
রাষ্ট্রগুলির মধ্যকার বিশ্ব ইস্যুসমূহ আন্তর্জাতিক
ব্যবস্থা-র প্রেক্ষাপটে আলোচিত হয়। এর মূল বিষয়বস্তু
রাষ্ট্রের ভূমিকা, কূটনীতিক সম্পর্ক, আন্তর্জাতিক
সংস্থাসমূহ , বেসরকারী সংস্থাসমূহ , এবং বহুজাতিক
কর্পোরেশনসমূহ । বিশ্বায়নের এই যুগে কূটনীতি ও
আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্ক একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
পরিবর্তনশীল যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতেa
দ্বিপক্ষীয়-বহুপক্ষীয় আলোচনা, বৈশ্বিক সমস্যা
সম্ভাবনা,মানবাধিকার,আন্তর্জাতিক ব্যবসা-বানিজ্য,
অর্থনীতি,আইন ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে হয়। বিশ্বের
রাষ্ট্র সমূহের মধ্যে সম্পর্ক,কূটনীতি ,রাজনীতি,অর্থনী
তি,সমাজ,সাংস্কৃতি,আইন প্রভৃতি নিয়েই পড়াশোনা করা
হয় আমাদের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে।
.
১৯৪৭ সালের জুলাই মাসে ভারতীয় উপমহাদেশে সর্বপ্রথম
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হয় আন্তর্জাতিক সম্পর্ক
বিভাগ। বর্তমানে ৬টি(ঢাবি, রাবি, জাবি, চবি, বিইউপি,
BSMRSTU) বিশ্ববিদ্যালয়ে IR বিভাগটি রয়েছে।
২০১৪ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এই বিভাগটি
যাত্রা শুরু করে এবং ২০১৪-২০১৫ শিক্ষাবর্ষের
শিক্ষার্থীদের পাঠকার্যক্রম শুরুর মাধ্যমে এই বিভাগের
আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থীরা হবে
৮ম ব্যাচের শিক্ষার্থী।
এই বিভাগের পাঠ্যসূচী বৈশ্বিক পরিবর্তনের মতই
পরিবর্তিত হচ্ছে। দুইটি বিশ্বযুদ্ধ আর ঠান্ডা যুদ্ধের পর,
বিশ্বপরিস্থিতি একদমই পালটে গেছে।তাছাড়া
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা আন্তর্জাতিক
সম্পর্কের পড়াশোনা ও গবেষণার বিষয়বস্তুকে অন্য
মাত্রায় নিয়ে গেছে, আমাদের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক
বিভাগ অন্তত যুগপযোগী।এখানে রাজনীতি,অর্থনীতি,
রাষ্ট্রবিজ্ঞান, ইতিহাস,সমাজবিজ্ঞান,মিডিয়া,
রাজনৈতিক, ভূগোল,বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা,শরনার্থী
,অভিবাসন,আন্তর্জাতিক আইন,সমুদ্র আইন,গবেষণা
পদ্ধতি,লিঙ্গ সমতা,কূটনৈতিক কৌশল,আন্তর্জাতিক
সম্পর্কের বিভিন্ন তত্ত,গ্লোবালাইজেশন ইত্যাদি নিয়ে
পড়ানো হয়। যা একজনের জ্ঞানকে শুধু বর্ধিতই করবে না,
বরং আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে দক্ষ মানবশক্তি হিসেবে
গড়ে তুলবে।
.
কেন পড়বেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে-
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক আইন, কূটনীতি, ইতিহাস,
রাষ্ট্রবিজ্ঞান রাজনীতি, অর্থনীতি, আর সমাজ-
সংস্কৃতি নিয়েই পড়াশোনার বিষয় হল ইন্টারন্যাশনাল
রিলেশন্স বা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক। এ বিষয় নিয়ে পড়লে
যা থাকছে :


* সহজেই নিজের একটি ভালো অবস্থান তৈরি করে নিতে
পারবেন।
* স্কলারশিপ নিয়ে বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ তো থাকছেই।
* আরও রয়েছে যশ, খ্যাতি আর বড় অংকের বেতন।
*বৈচিত্রপূর্ণ পাঠ্যক্রম হওয়ায় বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে
প্রবেশের সুযোগ।
* সর্বোপরি কাজের ভেতর দিয়ে দেশকে সেবা করার
সুযোগ।
*যাদের আগ্রহ রয়েছে সমসাময়িক আন্তর্জাতিক
ঘটনাবলী, বিভিন্ন দেশগুলোর সম্পর্ক ইত্যাদি বিষয়
নিয়ে, তাদের জ্ঞান পিপাসা মেটানোর জন্য IR হতে
পারে প্রধান মাধ্যম। প্রতিটি সাম্প্রতিক ঘটনাই IR এর
সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত।
.

কর্মক্ষেত্র-

বাংলাদেশে ৪৮টি দেশের আবাসিক দূতাবাস ও
হাইকমিশন অফিস আছে। ১৫ থেকে ২০টির মতো দেশের
কনস্যুলেট রয়েছে এ দেশে। এ ছাড়া বিশ্বের ৬৯টি দেশে
বাংলাদেশের দূতাবাস রয়েছে। কনস্যুলেট, ডেপুটি
হাইকমিশন, অ্যাসিস্ট্যান্ট হাইকমিশন ও ভিসা সেন্টার
রয়েছে ৫২টি দেশে (উইকিপিডিয়া)।
বর্তমানে বাংলাদেশে কাজ করা বিদেশি এনজিও ও
উন্নয়ন সংস্থার সংখ্যা ২৩৩ (সূত্র: প্রথম আলো, জুন ১৯,
২০১৪)।
বিদেশি এনজিওগুলোয় ৩৪২ জন বিদেশি এবং ১৫ হাজার
৮১৫ জন বাংলাদেশি কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মরত; এর
পাশাপাশি দেশের অসংখ্য উন্নয়ন সংস্থা তো রয়েছেই।
দিনকে দিন দূতাবাস, আন্তর্জাতিক ও দেশীয় উন্নয়ন
সংস্থাগুলোয় জনবল চাহিদা বাড়ছে। বাংলাদেশ ধীরে
ধীরে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থাতেও তাৎপর্যের
সঙ্গে কার্যক্রমে সংশ্লিষ্টতা বাড়াচ্ছে। আন্তর্জাতিক
সংস্থাগুলোতেও বাংলাদেশিদের সংখ্যা বাড়ছে দ্রুত।
এখান থেকে পড়াশোনার পর ভালো চাকরি কিংবা
বিদেশে উচ্চতর পড়াশোনা/গবেষণা দুটোরই খুবই ভালো
সুযোগ আছে। আইআর গ্রাজুয়েটরা যেকোন ডিসিপ্লিনে
কাজ করতে পারে,ব্যাংকিং থেকে শুরু করে সরকারী
চাকরি,এনজিও……বাংলাদেশে প্রচলিত প্রায় সব ধরনের
চাকরিতেই যেতে পারবে।এবং এসব চাকরির
প্রতিযোগীতায় অন্যসবার থেকে এগিয়েই থাকে,
বৈচিত্রময় পাঠ্যসূচীর কারনে। বিসিএস দিয়ে পররাষ্ট্র
মন্ত্রনালয়ে যাওয়া এ বিভাগের প্রায় সবারই স্বপ্ন
থাকে, কিন্তু অন্য সেক্টরেও কম প্রবেশ করে না।
বাংলাদেশে দিনকে দিন দূতাবাস ও বিভিন্ন
আন্তর্জাতিক এনজিওর সংখ্যা বেড়েই চলছে। আর
এখানে দক্ষ জনবলের চাহিদাও বাড়ছে। আন্তর্জাতিক
সম্পর্কের ছাত্রদের জন্য এই আন্তর্জাতিক ভুবনে কাজ
করার তাই অবারিত সুযোগ বেড়েই চলছে। নিজের একটি
ভালো অবস্থান, বড় অংকের বেতন, বিশ্ব ভ্রমণ, সর্বোপরি
দেশকে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ সবই সহজে ধরা দেয়
আইআর গ্রাজুয়েটদের জন্য।
.
#_রাজশাহী_বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্কঃ
নতুন বিভাগ হওয়ায় কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে আমাদের।
তবে, বর্তমান সভাপতি স্যারের সুনিপুণ পরিচালনায় দ্রুত
শিক্ষাগত ও অবকাঠামোগত উন্নতি করছে, আমাদের
ডিপার্টমেন্ট। ডিপার্টমেন্ট অন্তপ্রান সভাপতি স্যার ও
শিক্ষকদের আন্তরিকতায় সীমাবদ্ধতাগুলো দ্রুত কাটিয়ে
উঠছে, আমাদের ডিপার্টমেন্ট।এখন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের #_আন্তর্জাতিক_সম্পর্ক বিভাগ এখন সম্পূর্ণ স্বয়ংসম্পূর্ণ। 
তবে হ্যাঁ, সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে অবশ্যই সবকিছু জেনে-
বুঝে নেয়া উচিত।
"RUIR Family" -
প্রতিবছর খুব কম শিক্ষার্থী এই ডিপার্টমেন্টে ভর্তি
হওয়ার সুযোগ পায়(প্রতি শিক্ষাবর্ষে ৪০জন)। শিক্ষার্থী
সংখ্যা কম হলেও আমাদের আন্তরিকতার কোন অভাব
নেই। ডিপার্টমেন্টের যাত্রার শুরু থেকেই ডিপার্টমেন্টি
গড়ে উঠেছে একটি পরিবার হিসেবে। ডিপার্টমেন্টের
প্রতিটি ব্যাচের শিক্ষার্থীরা একে অপরের পরিচিত
এবং ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। শুরু থেকেই পাবে, বড় ভাই ও আপুদের
ভালবাসা ও স্নেহ।

Collected from: Rajshahi University Facebook Group. 

University Of Rajshahi.


Post a Comment

Previous Post Next Post

ads

ads